Madhyamik Geography Syllabus 2025 | মাধ্যমিক ভূগোল সিলেবাস 2025

Madhyamik Geography Syllabus 2025 একজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভূগোলে ভালো রেজাল্ট করতে গেলে একজন পরীক্ষার্থীর সম্পূর্ণ মাধ্যমিক ভূগোল সিলেবাস 2025 জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। সিলেবাস হচ্ছে রোড ম্যাপ, একটি দিশা। একজন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক ভূগোলের কোন অংশটুকু পড়বে কতটুকুই বা পড়বে তার সম্পূর্ণ দিশা এই সিলেবাসেই দেওয়া থাকে। শুধুমাত্র Madhyamik Geography Syllabus 2025 নয়, মাধ্যমিকের প্রতিটি সিলেবাসের ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য।

https://whatsapp.com/channel/0029VaBAOWA7j6gDJYJ6DQ3Z

আরেকটি বিষয় বলে রাখা ভালো যে মাধ্যমিক ভূগোল সিলেবাস 2025 (Madhyamik Geography Syllabus 2025) সিলেবাস শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নয় সেই সঙ্গে অভিভাবক, শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষানুরাগেদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা এই সিলেবাস সম্পর্কে জেনে নিজের সন্তানকে, ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিক পাঠদানে সাহায্য করতে পারে।

দশম শ্রেণীতে পাঠারত সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে একটি কথাই বলার আছে যে তোমরা দশম শ্রেণীর ভূগোল পাঠ্যপুস্তক পড়ার আগে Madhyamik Geography Syllabus 2025 তথা মাধ্যমিক ভূগোল সিলেবাস 2025 সম্পর্কে অবশ্যই জেনে নেবে। কারন সিলেবাস সম্পর্কে না জানলে কোন অধ্যায় থেকে কি বিষয় ও উপ বিষয়ে আছে (Topics) সেই সম্পর্কে জ্ঞান লাভ হবে না। আর এই জ্ঞান টুকু না থাকলে পড়া মনে রাখা খুব মুশকিল হয়ে যায়। তাই তোমরা মাধ্যমিক ভূগোল সিলেবাস 2025 (Madhyamik Geography Syllabus 2025) জানার সঙ্গে সঙ্গে মাধ্যমিকের অন্যান্য বিষয়েরও সিলেবাস সম্পর্কে জেনে রাখবে। MadhyamikExam.Com মাধ্যমিকের সমস্ত বিষয়ের সিলেবাস সম্পর্কে তথ্য দিয়ে রেখেছে তোমরা সেগুলি অবশ্যই পড়ে নেবে।

  • বহির্জাত প্রক্রিয়া: ভূমিরূপ গঠনে বহির্জাত প্রক্রিয়ার ভূমিকা সংক্ষিপ্ত ধারণা।
  • নদীর বিভিন্ন কাজ (ক্ষয়, বহন, অবক্ষেপণ) দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ: জলচক্রের অংশ হিসেবে নদী, নদী-অববাহিকা, জল-বিভাজিকা, নদীর বিভিন্ন গতি। নদীর কাজ ক্ষয়, বহন ও অবক্ষেপণের বিভিন্ন পদ্ধতি ও তার ফলে গঠিত ভূমিরূপ সৃষ্টির কার্যকারণ সম্পর্ক বিশ্লেষণ। ভূমিরূপ V-আকৃতির উপত্যকা, শৃঙ্খলিত শৈলশিরা গিরিখাত, ক্যানিয়ন, খরস্রোত, জলপ্রপাত, প্রপাতকূপ, মন্থকূপ, পললব্যজনী, নদী-বাঁক (খাড়া পাড়, ঢালু পাড়), অশ্ব ক্ষুরাকৃতি হ্রদ (ক্ষয়, বহন ও অবক্ষেপণের মিলিত কার্যের ফলে সৃষ্ট), প্লাবনভূমি, স্বাভাবিক বাঁধ, খাঁড়ি, ব-দ্বীপ (ত্রিকোণাকৃতি, হুকাকৃতি, পাখির পায়ের মতো ব-দ্বীপ)।
  • নদীর মোহনায় বদ্বীপ সৃষ্টির কারণ গঙ্গা-পদ্মা-মেঘ নার ব-দ্বীপের সক্রিয় অংশের (সুন্দরবন) ওপর পৃথিবীব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: নদীর মোহনায় ব-দ্বীপ সৃষ্টির অনুকূল ভৌগোলিক অবস্থা বিশ্লেষণ। পৃথিবীব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন গঙ্গা-পদ্মা-মেঘনার ব-দ্বীপের সক্রিয় অংশকে (সুন্দরবন অঞ্চল) কীভাবে প্রভাবিত করছে সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা; লোহাচড়া, নিউমুর এবং ঘোড়ামারা দ্বীপের বর্তমান পরিস্থিতি।
  • হিমবাহের বিভিন্ন কাজ (ক্ষয়, বহন, অবক্ষেপণ) দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ: হিমবাহ, পৃথিবীর বৃহত্তম সুপেয় জলের সঞ্চয় হিসাবে হিমবাহ, হিমবাহের প্রকারভেদ (মহাদেশীয়, পার্বত্য, পর্বতের পাদদেশীয়), হিমরেখা, হিমশৈল, ক্রেভাস ও বার্গশ্রুন্ড (পর্বতারোহণে সমস্যা)। হিমবাহের কাজ- ক্ষয়, বহন ও অবক্ষেপণের পদ্ধতি ও তার ফলে গঠিত ভূমিরূপ সৃষ্টির কার্যকারণ সম্পর্ক বিশ্লেষণ। ভূমিরূপ করি, অ্যারেট, পিরামিড চূড়া, কর্তিত শৈলশিরা U আকৃতির উপত্যকা বা হিমদ্রোণী, ঝুলন্ত উপত্যকা, রসে মতানে, ব্র্যাগ ও টেল, ফিয়র্ড গ্রাবরেখা (পার্শ্ব, মধ্য, প্রান্ত গ্রাবরেখার উল্লেখ); হিমবাহ-জলধারার মিলিত কার্য-বহিঃধৌত সমভূমি, ড্রামলিন, কেম, এসকার, কেটল্।
  • বায়ুর কাজ (ক্ষয়, অপসারণ, সঞ্চয়) দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপসমূহ: পৃথিবীর প্রধান প্রধান মরু অঞ্চল (মানচিত্রসহ) ও উপকূল অঞ্চলে বায়ুর কার্যের প্রাধান্যের কারণ, বালুকণা সৃষ্টির ধারণা। বায়ুর কাজ ক্ষয়, অপসারণ ও সঞ্চয় পদ্ধতি এবং তার ফলে গঠিত ভূমিরূপ সৃষ্টির কার্যকারণ সম্পর্ক বিশ্লেষণ। ভূমিরূপ- অপসারণ গর্ত, গৌর, জিউগেন, ইয়ারদাঙ, ইনসেলবার্জ, বালিয়াড়ি (বার্খান ও সিফ বালিয়াড়ি), লোয়েস।
  • বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ: বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ গড়ে ওঠার কার্যকারণ সম্পর্কে ধারণা গঠন (ওয়াদি, পেডিমেন্ট, বাজাদা, প্লায়া)। বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ মরু অঞ্চলের প্রসারণ ও প্রতিরোধের উপায় (সাহারা ও থর মরুভূমির উদাহরণ)।

  • বায়ুমন্ডলের ধারণা, উপাদান: বায়ুমণ্ডল, বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন উপাদান সম্পর্কে ধারনা।
  • উপাদান ও উষ্ণতার ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস: উপাদান ও উন্নতার ভিত্তিতে বায়ুর স্তর বিন্যাসের ধারণা গঠন ও চিত্রসহ ব্যাখ্যা (ট্রপোস্ফিয়ার, স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার, মেসোস্ফিয়ার, আয়নোস্ফিয়ার, এক্সোস্ফিয়ার এবং ম্যাগনেটোস্ফিয়ার)। ওজোনোস্ফিয়ারের গুরুত্ব ও বিনাশ।
  • বায়ুমণ্ডলের তাপ, উন্নতা ও বিশ্ব-উন্নায়ণ: ইনসোলেশান, তাপের সমতা, বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হওয়ার পদ্ধতি, তাপের পরিমাপ-সিক্সের থার্মোমিটার, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, গড় তাপমাত্রা এবং তাপমাত্রার প্রসর নির্ণয় (দৈনিক, মাসিক ও বার্ষিক)- প্রদত্ত সারণি থেকে। বায়ুমণ্ডলের তাপের তারতম্যের কারণসমূহ (উদাহরণ সহযোগে) অক্ষাংশ, উচ্চতা (বৈপরীত্য উত্তাপের উল্লেখসহ), স্থলভাগ ও জলভাগের বণ্টন (সামুদ্রিক ও মহাদেশীয় জলবায়ুর উল্লেখসহ), বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত, ভূমির ঢাল, মেঘাচ্ছন্নতা ও অধঃক্ষেপণ, স্বাভাবিক উদ্ভিদ, মৃত্তিকা, নগরায়ণ ও শিল্পায়ন। তাপমণ্ডল, সমোয়রেখা ও পৃথিবীর তাপের অনুভূমিক বণ্টন। বিশ্ব উন্নায়ন-গ্রিন হাউস গ্যাসের ভূমিকা। বিশ্ব উন্নায়নের প্রভাব – মেরু অঞ্চলের বরফের গলন ও পার্বত্য হিমবাহের গলন, সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি, অধঃক্ষেপণের প্রকৃতি পরিবর্তন, শস্য উৎপাদনের। হ্রাসবৃদ্ধি, কৃষি পদ্ধতির পরিবর্তন, এল নিনো ও পৃথিবীব্যাপী তার প্রভাব, পৃথিবীতে আগত ও বিকিরিত তাপের বৈষম্য।
  • বায়ুর চাপবলয় ও বায়ুপ্রবাহ (নিয়ত বায়ুপ্রবাহ, স্থানীয় বায়ু, আকস্মিক বায়ু, ঘূর্ণবাত, প্রতীপ ঘূর্ণবাত): বায়ুচাপের ধারণা, চাপের পরিমাপ (টরিসেলি ব্যারোমিটার, ফর্টিন্স ব্যারোমিটার, অ্যানিরেয়েড ব্যারোমিটার, অত্যাধুনিক যন্ত্রের উল্লেখসহ), চাপের তারতম্যের নিয়ন্ত্রকসমূহ (উচ্চতা, উদ্বুতা, জলীয়বাষ্প, পৃথিবীর আবর্তন, স্থলভাগ ও জলভাগের বণ্টন), সমচাপরেখা (চাপ ঢালের ধারণার উল্লেখ)। পৃথিবীর চাপ বলয়সমূহ, বায়ুচাপ বলয়ের অবস্থান পরিবর্তন, বায়ুপ্রবাহ নিয়ত বায়ু, সাময়িক বায়ু (স্থলবায়ু, সমুদ্রবায়ু, মৌসুমিবায়ু, পার্বত্য ও উপত্যকা বায়ু), স্থানীয় বায়ু (উয়-ফন, চিনুক, সিরোক্কো, লু; শীতল-মিস্ট্রাল, বোরা), আকস্মিক বায়ু (ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘূর্ণবাত, ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা)। জেটবায়ু, মৌসুমিবায়ুর সঙ্গে জেট বায়ুর সম্পর্ক)।
  • আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ: জলচক্রের ধারণা, বাষ্পীভবন, আর্দ্রতা (চরম আর্দ্রতা, বিশেষ আর্দ্রতা, আপেক্ষিক আর্দ্রতা), সম্পৃক্ত বায়ু, শিশিরাঙ্ক, আর্দ্রতার পরিমাপ; ঘনীভবন ও তার বিভিন্ন রূপ শিশির, কুয়াশা, ধোঁয়াশা, মেঘ (শ্রেণিবিভাগ নিষ্প্রয়োজন) আবহাওয়া মানচিত্রে মেঘাচ্ছন্নতার প্রতীক চিহ্নের ব্যবহার। অধঃক্ষেপণ ধারণা, বিভিন্ন ধরনের অধঃক্ষেপণের উল্লেখ, বৃষ্টিপাতের শ্রেণিবিভাগ, বৃষ্টিপাত পরিমাপ। পৃথিবীর মুখ্য জলবায়ু অঞ্চল – আর্দ্র নিরক্ষীয়, ক্রান্তীয় (মৌসুমি, উয় মরু), উয় নাতিশীতোয় (ভূমধ্যসাগরীয়, স্টেপ, চিনদেশীয়), শীতল নাতিশীতোয় (পশ্চিম উপকূলীয় সামুদ্রিক, মহাদেশীয়, আর্দ্র নাতিশীতোয়), শীতল (তুন্দ্রা) (সারণি ও পৃথিবীর পূর্ণ পৃষ্ঠার মানচিত্রের মাধ্যমে), উন্নতা ও বৃষ্টিপাতের লেখচিত্রের সাহায্যে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্তকরণ (আর্দ্র নিরক্ষীয়, ক্রান্তীয় মৌসুমি, ক্রান্তীয় উয় মরু, ভূমধ্যসাগরীয়, তুন্দ্রা)।
  • সমুদ্রস্রোতের ধারণা, সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির কারণ (বিভিন্ন মহাসাগরের স্রোতসমূহের বিবরণ নিষ্প্রয়োজন) পৃথিবীব্যাপী সমুদ্রস্রোতের বিশেষ প্রভাব: সমুদ্রস্রোতের ধারণা (তরঙ্গের সঙ্গে তুলনা), প্রকারভেদ – উয় ও শীতল স্রোত। সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির কারণ পৃথিবীর আবর্তন, বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রজলের উন্নতা ও লবণাক্ততা, সমুদ্রজলের ঘনত্ব, বরফের গলন, উপকূলের আকৃতি, ঋতুভেদ। পৃথিবীব্যাপী সমুদ্র স্রোতের প্রভাব মগ্নচড়া সৃষ্টি ও তার বাণিজ্যিক গুরুত্ব, উপকূলের জলবায়ু, জলবায়ুর পরিবর্তন (পৃথিবীর পূর্ণ পৃষ্ঠার মানচিত্রে বিভিন্ন মহাসাগরের সমুদ্রস্রোত উপস্থাপন)।
  • জোয়ার ভাটার ধারণা, সৃষ্টির কারণ ও ফলাফল: জোয়ার ভাটার ধারণা, সৃষ্টির কারণ, মুখ্য জোয়ার, গৌণ জোয়ার, জোয়ার ভাটার সময়ের ব্যবধান, ভরা কোটাল, মরা কোটাল, সিজিগি, অ্যাপোজি, পেরিজি, বানডাকা। জোয়ার ভাটার ফলাফল।
  • বর্জ্যের ধারণা: শিক্ষার্থীর পারিপার্শ্বিক পরিবেশে প্রাপ্ত বর্জ্যের উল্লেখপূর্বক বর্জ্যের ধারণা, প্রকারভেদ কঠিন, তরল, গ্যাসীয়, বিষাক্ত ও বিষহীন বর্জ্য।
  • বর্জ্য পদার্থের উৎস ও প্রভাব: সংক্ষেপে বর্জ্যের উৎসের ধারণা গৃহস্থালির বর্জ্য, শিল্প বর্জ্য, কৃষিজ বর্জ্য, পৌরসভার বর্জ্য, জৈব বর্জ্য, চিকিৎসা সংক্রান্ত বর্জ্য, তেজস্ক্রিয় বর্জ্য; পরিবেশের ওপর বর্জ্যের প্রভাব।
  • বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয়তা: বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ধারণা- বর্জ্যের পরিমাণগত হ্রাস, পূনর্ব্যবহার, পুনর্নবীকরণ। কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি- বর্জ্য পৃথকীকরণ (জৈব ভঙ্গুর ও জৈব অভঙ্গুর), ভরাটকরণ (landfill), কম্পোস্টি (Composting), নিষ্কাশন / নিকাশী (Drainage), স্ক্রাবার (Scrubber)। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর ভূমিকা। ভাগীরথী-হুগলি নদীর ওপর বর্জ্যের প্রভাব- বিশেষ আলোচনা।

মাধ্যমিক ভূগোল সিলেবাস 2025 (Madhyamik Geography Syllabus 2025) লক্ষ্য করলে দেখা যাবে মাধ্যমিক ভূগোলের 6 টি অধ্যায়ের এর মধ্যে এই অধ্যায়টি সবচেয়ে বড়। পঞ্চম অধ্যায় দুটি বিভাগে বিভক্ত। যথা: (1) প্রাকৃতিক ভূগোল ও (2) অর্থনৈতিক ভূগোল। প্রাকৃতিক বিভাগের উপবিভাগগুলি হল নিম্নরূপ।

  • ভারতের অবস্থান, প্রশাসনিক বিভাগ: ভৌগোলিক অবস্থান, বিস্তৃতি, সীমা। স্বাধীনতা উত্তর ভারতে রাজ্যগুলির বিন্যাসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। ভারতের বর্তমান রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহ।
  • ভারতের ভূ-প্রকৃতি: ভারতের ভূ-প্রাকৃতিক বিভাগ- উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল উত্তরের সমভূমি অঞ্চল, উপদ্বীপীয় মালভূমি অঞ্চল উপকূলীয় সমভূমি, দ্বীপপুঞ্জ, ভূ-প্রাকৃতিক বিভাগসমূহের গুরুত্ব।
  • ভারতের জলসম্পদ: ভারতের জলসম্পদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় নদনদী (শুধুমাত্র গঙ্গা, সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র, নর্মদা, তাপী, মহানদী, গোদারবী, কৃষ্ণা, কাবেরীর গতিপথ বর্ণনা); হ্রদ, জলাশয়, খালের বণ্টন ও মানবজীবনে এদের গুরুত্ব। জলসেচের বিভিন্ন পদ্ধতি (কূপ, নলকূপ, খাল), গুণাগুণ, ভৌমজলের অতিরিক্তি ব্যবহার ও তার প্রভাব। বহুমুখী নদী-উপত্যকা পরিকল্পনা প্রধান কয়েকটি নদী উপত্যকা পরিকল্পনার উল্লেখ। দামোদর ভ্যালি করপোরেশন বিশেষ আলোচনা ।জলসংরক্ষণ গুরুত্ব, পদ্ধতি (জলবিভাজিকা উন্নয়ন [Watershed Development), বৃষ্টির জল সংরক্ষণ), বৃষ্টির জল সংরক্ষণে তামিলনাডুর অগ্রণী ভূমিকা- বিশেষ আলোচনা।
  • ভারতের জলবায়ু: সংক্ষেপে ভারতের জলবায়ুর বৈচিত্র্য। ভারতের জলবায়ুর নিয়ন্ত্রকসমূহ অবস্থান ও অক্ষাংশগত বিস্তৃতি, হিমালয় পর্বতের ভূমিকা, ভূ-প্রকৃতি, সমুদ্র সান্নিধ্য, মৌসুমি বায়ু, জেট বায়ু, ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত ও পশ্চিমি ঝঞ্ঝা, এল নিনো ও লা-নিনার প্রভাব। মৌসুমি বায়ু ও ভারতের ঋতুবৈচিত্র্য গ্রীষ্মকাল, বর্ষাকাল, মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাবর্তনকাল, শীতকাল। মৃত্তিকা, স্বাভাবিক উদ্ভিদ, কৃষিকাজের ওপর মৌসুমি বৃষ্টিপাতের প্রভাব (বন্যা ও খরার উল্লেখসহ)।
  • ভারতের মৃত্তিকা: মৃত্তিকার শ্রেণিবিভাগ (পলি মৃত্তিকা, কৃয় মৃত্তিকা, লোহিত মৃত্তিকা, ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা, মরু মৃত্তিকা, পার্বত্য মৃত্তিকা), উপাদান, বৈশিষ্ট্য (রং, প্রথন, খনিজের উপস্থিতি, উৎপাদিত শস্য), আঞ্চলিক বণ্টন। মৃত্তিকা ক্ষয়, মৃত্তিকা ক্ষয়ের কারণ (প্রবহমান জলধারা, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাতের প্রকৃতি, ভূ-প্রকৃতি, জনসংখ্যা চাপ, অনিয়ন্ত্রিত পশুচারণ, অবৈজ্ঞানিক খনন, ভূমিধস, বৃক্ষছেদন, প্রথাগত কৃষি পদ্ধতি); ভারতের মৃত্তিকা ক্ষয় অঞ্চল। মৃত্তিকা ক্ষয়ের ফলাফল উর্বর মৃত্তিকার উপরিস্তরের অপসারণ, ভৌমজলের উচ্চতা হ্রাস ও মাটির আর্দ্রতার পরিমাণ হ্রাস, মরু অঞ্চলের প্রসারণ, বন্যা ও খরার প্রবণতা বৃদ্ধি, খাল ও নদীতে পলি সঞ্চয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি, ভূমিধস বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক উন্নতিতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি। মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধ ও সংরক্ষণ বৃক্ষরোপণ, ধাপ চাষ, সমোন্নতিরেখা চাষ (Contour ploughing), ফালি চাষ (strip cropping), গালি চাষ (Gully ploughing), ঝুমচাষ রোধ।
  • ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ: স্বাভাবিক উদ্ভিদের শ্রেণিবিভাগ (ক্রান্তীয় চিরহরিৎ, ক্রান্তীয় পর্ণমোচী, ক্রান্তীয় মরু, পার্বত্য উদ্ভিদ ও ম্যানগ্রোভ), আঞ্চলিক বণ্টন, বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার। অরণ্য সংরক্ষণ, অরণ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি – অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃক্ষছেদন রোধ, অপরিণত বৃক্ষছেদন হ্রাস, কাঠের জ্বালানির পরিবর্তে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, দাবানল প্রতিরোধ, রাসায়নিক ও জৈবিক উপায়ে অরণ্যের বৃক্ষের রোগ প্রতিরোধ, পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ, বনসৃজন ও পুনর্বনসৃজন, অরণ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিণত ও নির্বাচিত বৃক্ষছেদন কর্মসূচী গ্রহণ, মানুষের অংশগ্রহণ * সামাজিক বনসৃজন ও কৃষি বনসৃজন।

মাধ্যমিক ভূগোল সিলেবাস 2025 (Madhyamik Geography Syllabus 2025) এর এই অংশটিও অত্যন্ত বিস্তৃত একটি অংশ। প্রাকৃতিক ভূগোলের প্রায় সমপরিমাণ উপ বিষয় এই অংশে অবস্থিত। নিম্নে অর্থনৈতিক ভূগোলের বিস্তারিত সিলেবাস তুলে ধরা হল।

  • ভারতের কৃষি ভারতের কৃষির বৈশিষ্ট্য, প্রকারভেদ (ফসল ও ঋতু অনুযায়ী), প্রধান প্রধান কৃষিজ ফসলের (ধান, গম, মিলেট, ইক্ষু, কার্পাস, চা, কফি) – উৎপাদন ও বন্টন: ভারতের কৃষির প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য (জীবিকাসত্তাভিত্তিক কৃষি, জনসংখ্যার চাপ, কৃষিতে পশুশক্তির প্রাধান্য, মৌসুমি বৃষ্টির ওপর নির্ভরতা, জলসেচের ব্যবহার, ক্ষুদ্রাকৃতি জমিজোত, কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, খাদ্যশস্যের প্রাধান্য, পশুখাদ্যের অভাব, বহু শস্যের উৎপাদন)। ব্যবহার অনুসারে ফসলের শ্রেণিবিভাগ খাদ্যফসল, তত্ত্বফসল, বাগিচাফসল, অন্যান্য। ঋতু অনুযায়ী শ্রেণিবিভাগ খারিফ, রবি, জায়িদ ফসল প্রধান প্রধান কৃষিজ ফসলের অনুবুল ভৌগোলিক (প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক) পরিবেশ, বণ্টন, উৎপাদন, বাণিজ্য। ভারতীয় কৃষির সমস্যা ও সমাধান। ভারতের কৃষি উন্নত অঞ্চল পাঞ্জাব, হরিয়ানার কৃষি উন্নতির কারণ – বিশেষ আলোচনা।
  • ভারতের শিল্প-লৌহ- ইস্পাত, কার্পাস বয়ন, ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোকেমিক্যাল, অটোমোবাইল, তথ্য-প্রযুক্তি: শিল্প স্থাপনের কারণ (কাঁচামালের গুরুত্ব, জল, বিদ্যুৎ, পরিবহন, শ্রমিক, বাজার, মূলধন প্রভৃতি), বিশুদ্ধ ও অবিশুদ্ধ কাঁচামালের ধারণা। কাঁচামালভিত্তিক শিল্পের শ্রেণিবিভাগ (কৃষিজ, প্রাণীজ, বনজ, খনিজ)। উল্লেখ্য শিগুলির পৃথকভাবে গড়ে ওঠার কারণ (বিভিন্ন শিল্পকেন্দ্রের উল্লেখ সহযোগে)।
  • ভারতের জনসংখ্যা-আদম সুমারি, জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ধারণযোগ্য উন্নয়ন, জনবণ্টনের তারতম্যের কারণ, জনঘনত্ব, নগরায়ণ, নগরায়ণের সমস্যা: আদমসুমারির সাধারণ ধারণা ভারতের জনসংখ্যাতাত্ত্বিক কিছু প্রাথমিক তথ্য (মোট জনসংখ্যা, পুরুষ, মহিলা, বার্ষিক ও দশকীয় জনবৃদ্ধির হার, প্রাপ্ত বয়স্ক, অপ্রাপ্তবয়স্ক, নির্ভরশীল জনসংখ্যা, সাক্ষরতার হার, কর্মে অনিযুক্ত জনসংখ্যা, প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল, শিশুমৃত্যুর হার; প্রাথমিক গৌণ, প্রগৌণ, ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নিযুক্ত জনসংখ্যার শতাংশ পরিমাণ- শুধুমাত্র ২০১১ আদমসুমারির পরিসংখ্যান)। জনসংখ্যার বৃদ্ধি ও ধারণযোগ্য উন্নয়ন। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে জনবণ্টনের তারতম্যের কারণ। জনঘনত্বের ধারণা। জীবনধারণের উপযোগী অনুকূল পরিবেশে জনসমাবেশের ফলে শহর, নগর গড়ে ওঠার কারণ। ভারতে নগরায়ণের সমস্যা অপরিকল্পিত নগরায়ণ, মানুষের শহরমুখী প্রবণতা, পরিকাঠামোর অভাব (বসতি, পরিবহন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, জলনিকাশীর সমস্যা)।
  • ভারতের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা- পরিবহনের গুরুত্ব, মাধ্যম, ভারতের প্রধান প্রধান সামুদ্রিক বন্দর ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর: পরিবহনের গুরুত্ব। পরিবহনের বিভিন্ন মাধ্যম। স্থলপথে পরিবহন ব্যবস্থায় রেলপথ, সড়কপথের ( সোনালি চতুর্ভুজ, উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম করিডর, জাতীয় সড়কপথ, রাজ্য সড়কপথ) গুরুত্ব। জলপথ অভ্যন্তরীণ ও সামুদ্রিক, প্রধান প্রধান সামুদ্রিক বন্দর আকাশপথ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অবস্থান। অন্যান্য পরিবহনের মাধ্যম রজ্জুপথ, পাইপলাইন, পাতালরেলের গুরুত্ব। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ইন্টারনেট, ই-মেল, সেল ফোন প্রভৃতি।

Madhyamik Geography Syllabus 2025 বা মাধ্যমিক ভূগোল সিলেবাস 2025 এর এই অংশটি দেখলেই বোঝা যায় যে এটি সবচেয়ে ছোট অংশ। অর্থাৎ এই অধ্যায়টি ছোট একটি অধ্যায়। ছোট হলেও অধ্যায়টির গুরুত্ব অনেকখানি। এটি এমন একটি অধ্যায় যে অধ্যায়টির বিষয়বস্তু দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা ইতিপূর্বে কোন ক্লাসেই পড়েনি। তাই অধ্যায়টির বিষয়বস্তু বুঝে উঠতে ছাত্রছাত্রীদের সময় লাগবে। তবে রেফারেন্স বইসহ অধ্যায়টি মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করলে বুঝে উঠতে বেশি সময় লাগবে না। অধ্যায়টির সিলেবাস নিম্নরূপ।

  • উপগ্রহ চিত্র ও ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র-সাধারণ ধারণা, প্রভেদ, ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে স্কেলের ব্যবহার, উপগ্রহ চিত্রের বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার: উপগ্রহ চিত্র ও ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের সাধারণ ধারণা। উপগ্রহ চিত্র ও ভূ-বৈচিত্র্য সূচক মানচিত্রের মধ্যে প্রভেদ। ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে বিভিন্ন ধরনের স্কেলের ব্যবহার। উপগ্রহ চিত্র তোলার বিভিন্ন পর্যায়। উপগ্রহ চিত্রের বৈশিষ্ট্য। উপগ্রহ চিত্রের ব্যবহার ও গুরুত্ব।

Q. Madhyamik Geography Syllabus 2025 এর PDF লিঙ্ক কিভাবে পাবো?

Ans: PDF লিঙ্ক পেতে গেলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে যুক্ত হতে হবে।

Q. মাধ্যমিক ভূগোল সিলেবাস 2025 এর কোনরূপ পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে?

Ans: না নেই।

Q. Madhyamik Geography Syllabus 2025 মাধ্যমিকের বইতে পাওয়া যাবে?

Ans: হ্যাঁ যাবে।

Leave a comment